অতিরিক্ত ঝাল খাবারেও রয়েছে উপকার
প্রকাশিত : ২১:৩৮, ১২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০৪, ১৫ এপ্রিল ২০১৮
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না বরং বিভিন্ন উপকার পাওয়া যায়। মরণব্যাধির মতো রোগের প্রকোপ কমাতে ভালই সাহায্য করে। তাছাড়া বাঙালিদের মুখরোচক খাবার হচ্ছে ঝাল। যতই কষ্ট হোক না কেন ঝালের প্রতি এক ধরনের প্রেমের টান রয়েছে।
তবে জেনে নেই অতিরিক্ত ঝালে কি কি উপকার পাওয়া যাচ্ছে-
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব দেশের নাগরিকেরা বেশি মাত্রায় ঝাল খেয়ে থাকেন, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ ঝাল মরিচ দিয়ে বানানো খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। সেই সঙ্গে হার্টের ভিতরে হওয়া ইনফ্লেমেশনও কমে।
মানসিক অবসাদের মাত্রা কমে : বেশ কয়েকদিন ধরেই মনটা কেমন খারাপ। সেই সঙ্গে হাসিও যেন দূর চলে গেছে। ঠিক এ সময় পছন্দের ঝাল খাবার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে। কারণ এমন ধরনের খাবার খাওয়া মাত্র আমাদের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন খারাপের কালো মেঘ কাটতে সময় লাগে না।
ওজন কমে : নিয়মিত যদি ঝাল খাবার খাওয়া যায় তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কারণ ঝাল মরিচে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর মেটাবলিজেম রেট এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ফ্যাট জমার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ফ্যাট বার্ন করার প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে। ফলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না।
আয়ু বৃদ্ধি পায় : সম্প্রতি এক গবেষকদের করা একটি রিসার্চ অনুসারে যারা অতিরিক্ত ঝাল খাবার খান, তাদের অসময়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৪ শতাংশ কমে যায়। তাই দীর্ঘদিন বাঁচতে সপ্তাহে তিন-চার দিন ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে : ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সারা শরীর গরম হয়ে যায়। ফলে রক্তের প্রবাহ বেড়ে গিয়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় নেয় না। তাই ঝাল খাবারে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
রাগের প্রকোপ কমে : যারা রাগী তারা বেশি মাত্রায় ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র সেরোটোনিনের মতো হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে রাগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
সূত্র : বোল্ডস্কাই।
কেএনইউ/এসি